মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডের (saline death) পর পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। প্রসূতি মামণি রুইদাসের মৃত্যুর (saline death) পর তাঁর সদ্যোজাত সন্তান এবং রেখা সাউয়ের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুই শিশুরই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের (saline death) তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রেখার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল (saline death) এবং তিনি হাসপাতালের জেনারেল বেডে রয়েছেন (saline death) ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেখার সন্তান এনআইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। মামণির মৃত্যুর পর তাঁর শিশুকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমবার আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মায়ের দুধ না পেয়ে শিশুটির স্বাস্থ্য খারাপ হয়েছে। মামণির পিসি রুম্পা দাস জানান, “শিশুটি হঠাৎ রবিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মায়ের দুধ না পাওয়ায় তাকে বাইরের খাবার দিতে হচ্ছে।” প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুটির জন্য খাবার এবং মশারি সরবরাহ করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দী জানিয়েছেন, “শিশুদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে এবং চিকিৎসা বোর্ড গঠন করা হয়েছে।”
রেখা সাউ, মামণি রুইদাস, মাম্পি সিংহ, মিনারা বিবি এবং নাসরিন খাতুন— এই পাঁচ প্রসূতি গত বুধবার সন্তান প্রসবের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, স্যালাইনের মান খারাপ হওয়ায় তাঁরা অসুস্থ হন। এর পরে স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে মাম্পি সিংহ, মিনারা বিবি এবং নাসরিন খাতুনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এর মধ্যেই মামণি এবং রেখার দুই সদ্যোজাত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল এবং প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে।
এই ঘটনা প্রসূতি সেবা এবং হাসপাতালের স্যালাইন সরবরাহ ব্যবস্থার গুণমান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। সঠিক মানের ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্ব কতটা পালন করা হচ্ছে, তা নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে। শিশুদের চিকিৎসার অগ্রগতি এবং প্রসূতিদের পুনর্বাসন নিয়ে সবাই নজর রাখছে।