আরজি করের দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সিবিআইয়ের সিজার লিস্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) সঙ্গে দুর্নীতির যোগের প্রমাণ আরও জোড়াল হয়েছে। কী পাওয়া গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়ি থেকে? জানা গিয়েছে, আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষর (Sandeep Ghosh) বাড়ি থেকে মিলেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮৮ পাতার আরটিআই-এর কপি ও অভিযোগপত্র। ৭৩০ পাতার টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও পাওয়া গিয়েছে। সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়ি থেকে মিলেছে অভ্যন্তরীণ কমিটির ৫১০ পাতার গোপন রিপোর্ট। যে সমস্ত নথি সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) অফিসে থাকার কথা ছিল, সেগুলো সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়িতে কীভাবে রয়েছে, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ স(Sandeep Ghosh) রকারি ই-টেন্ডারের সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। কেন অভিজিৎ মণ্ডলকে ই-টেন্ডার সংক্রান্ত নোটিশ পাঠিয়েছিল, তার উত্তরও খুঁজছে সিবিআই।
ইতিমধ্যে আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে হত্যা ও খুনের মামলায় সিবিআই টালা থানায় অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, ৯ আগস্ট দুপুরে আরজি করের সুপারকে দিয়ে সন্দীপ ঘোষ টালা থানায় যে অভিযোগ করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। পরিকল্পনা করেই আত্মহত্যার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয়েছিল বলেই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন। এছাড়াও সিবিআই দাবি করেছে, গোটা ঘটনাকে কার্যত গুরুত্বহীন করতে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। সেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগেই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মানুষের রোষ বাড়তে থাকে। তরুণী চিকিৎসক হত্যার পাশাপাশি দুর্নীতির যোগ স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভ যেন বিস্ফোরণের আকার নেয়। যতবার সন্দীপ ঘোষকে আদালতে তোলা হয়, ততবার আদালতের সামনে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় সন্দীপ ঘোষকে। এছাড়াও সন্দীপ ঘোষের রিজেস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।