সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) সহপাঠী ছিলেন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। প্রাক্তন সহপাঠীকে (Sandeep Ghosh) নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ খুললেন এককালেল সহপাঠী কৃষেন্দু বিকাশ বাগ। তিনি বলেন, এককালে ভাব থাকলেও ইন্টার্নশিপ ও হাউসস্টাফশিপ করার পর তাঁর সঙ্গে (Sandeep Ghosh) আর যোগাযোগ নেই।
প্রাক্তন সহপাঠীকে (Sandeep Ghosh) নিয়ে বলতে গিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, আরজি করের ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সালের ব্যাচে ছিলেন তাঁরা(Sandeep Ghosh) । ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। ব্যাচমেট। সেই হিসেবেই সন্দীপকে চিনতেন বলে তিনি দাবি করেন। ইন্টার্নশিপ-হাউস্টাপশিপ করার পর থেকে সন্দীপের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই বলেই তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি সেই সময়ের বন্ধু মহলে কারও সঙ্গেই সন্দীপের আর যোগাযোগ নেই। আরজি করে তাঁদের ব্যাচে যাঁরা পড়াশোনা করতেন, তাঁদের একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছিল। কিন্তু সেখানেও কোনওদিন তিনি ছিলেন না। তিনি বলেন, সন্দীপ হয়তো যোগাযোগ রাখতে চাইতো না। সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে একাধিক কথা উঠে আসছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কলেজের সন্দীপের সঙ্গে এখনের সন্দীপ ঘোষের মধ্যে কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছি না।
অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্টের বিষয়ে আগ্রহী সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত আধিকারী সংস্থা গুজরাটে নিয়ে গিয়ে সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট করাতে চাইছেন। বহু ক্ষেত্রে সন্দীপ ঘোষের বয়ানের অসঙ্গতি রয়েছে। সেই কারণে পলিগ্রাফ টেস্ট হয় সন্দীপ ঘোষের। পলিগ্রাফ টেস্টে একাধিক মিথ্যা কথা সন্দীপ ঘোষ বলেছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এবার নারকো টেস্ট করাতে চাইছে সিবিআই। যদিও নারকো টেস্টে অভিযুক্তের সম্মতি প্রয়োজন হয়। সন্দীপ ঘোষ সেই সম্মতি দেবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। ২৩ সেপ্টেম্বর জানা যাবে, সন্দীপ ঘোষ নারকো টেস্টে সম্মত হবেন কি না।
অন্যদিকে, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দীপের ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে বিরূপাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।