স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সন্দীপ ঘোষের(Sandeep Ghosh) নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এরই সঙ্গে তাঁকে নয়া পদে বসানো হয়েছে বলে দাবি রিপোর্টে। উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর চাপের মুখে সেখান থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সন্দীপ। এরপরই কয়েক ঘণ্টায় ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। তবে পরদিন সেখানে তাঁকে ঢুকতেই দেননি চিকিৎসকরা।
পরে সেই মামলা গড়িয়েছিল হাই কোর্টে। এবং বিচারপতির তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দীপকে এখনই কোনও প্রশাসনিক পদে বহাল করা যাবে না। পাশাপাশি আরজি কর থেকে সন্দীপ পদত্যাগ করার পরপরই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল করায় সরকারের ভর্ৎসনা করেছিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই আবহে সন্দীপ ঘোষ প্রথমে ১৫ দিনের ছুটি নেন এবং পরে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২১ দিন করেন। এদিকে হাই কোর্ট প্রথমে প্রশ্ন করেছিল, পুলিশ কেন সন্দীপ ঘোষকে জেরা করেনি। চিকিৎসক খুনের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে ছিল। এই পরিস্থিতি মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। এবং বিগত ৬ দিন ধরে টানা ১০-১২ ঘণ্টা করে জেরা করা হচ্ছে সন্দীপ ঘোষকে। প্রতিদিনই ফাইল হাতে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। তবে মিডিয়ার সামনে তিনি মুখ খোলেননি।
ন্যাশনাল মেডিক্যালের প্রিন্সিপল পদ থেকে সিয়ে আপাতত সন্দীপ ঘোষকে স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ পদে বহাল রাখা হয়েছে আপাতত। এদিকে তাঁর জায়গায় আরজি করে প্রিন্সিপাল হওয়া সুহৃতা পালকেও সেখান থেকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলে আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ হলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভের আবহে কলকাতা পুলিশ দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি আরজি করে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। অপর এফআইআর হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন হওয়া চিকিৎসকের নাম সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে।