ক্রমেই বিপদ বাড়ছে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh)। শনিবার আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) গ্রেফতার করেছে। সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) পলিগ্রাফ টেস্ট হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) বার বার তদন্তকে ভুল দিকে চালিত করার চেষ্টা করছে।
সিবিআই ইতিমধ্যে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। CDR রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ৯ আগস্ট ১০.০৪ মিনিট থেকে টালা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে গিয়েছেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওসি কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হয়। সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করেনি। তাদের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন শিয়ালদহ আদালতে প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে, সেখানে জুতো দিয়ে মারেন সাধারণ মানুষ। সন্দীপ ঘোষকে দেখে চোর চোর স্লোগান উঠতে থাকে। সম্প্রতি CBI হেফাজত শেষে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) তাঁর অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলি এবং অপর দুই ধৃত বিপ্লব সিংহ ও সুমন হাজরাকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আর জি কর মেডিক্য়ালে দুর্নীতিতে একাধিক ব্যক্তির যোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রচুর ডিজিট্যাল নথি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক ক্লোনিং করার কথাও আদালতে বলা হয়। ডিজিট্যাল তথ্য প্রমাণের জন্য একটু সময় লাগবে, সেই কারণে সিবিআই তাদের হেফাজতে নিতে চাইছে না বলে আদালতে বলা হয়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে রীতিমতো আতঙ্ক প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্যাতিতার বাবার উদ্বেগ অমূলক নয়।