আরজি কর কাণ্ডের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) শোকজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের প্রমাণ লোপাট, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে। সেই তিন দিনের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখা দিতে না পারলে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ তারিখ স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। এবার এই দুই বিতর্কিত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই দুই বিতর্কিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ফেল করানোর ভয় দেখানো, টাকা তোলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ৯ আগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমের একটি ভিডিও দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে এই দুই জন বিতর্কিত চিকিৎসককে দেখা যায়। তারপরেই এই দুই বিতর্কিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা সরব হন।
চিকিৎসকদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস একটি ছাত্রকে ফেল করানোর ভয় দেখায়। অন্যদিকে, টাকা নিয়ে ছাত্রদের পাশ করিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ অভিক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সরাসরি এই চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করেছিলেন। অভিক দেকে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ আগেই সাসপেন্ড করেছিল। তারপর স্বাস্থ্যভবন সাসপেন্ড করেছিল। এবার সাসপেন্ড করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
প্রসঙ্গত, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এই দুই বিতর্কিত চিকিৎসক। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা এই দুই বিতর্কিত চিকিৎসককে বরখাস্ত করার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এই দুই বিতর্কিত চিকিৎসককে বরখাস্ত করার দাবিতে দুই চিকিৎসক পদত্যাগ করেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল দুই চিকিৎসককে বরখাস্ত করে।