আগেই সিবিআই আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) ফের সিবিআই গ্রেফতার। এবার আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন প্রিন্সিপালের (Sandeep Ghosh) রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। ১১ দিনেও শোকজের জবাব না দেওয়ায় সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে সন্দীপকে শো কজ করা হয়। সেই শো কজের উত্তর সন্দীপ ঘোষকে তিন দিনের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিন দিনের মধ্যে শোকজের নোটিশ না দিলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে। কিন্তু ১০ দিন কেটে গেলেও সেই শোকজের উত্তর আসেনি। এই প্রসঙ্গে আইএম-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়কে ইমেল করে। সেখানে বলা হয়, আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে দূরে (Sandeep Ghosh) সরিয়ে রেখে অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুন। এবার সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার টালা থানার অপসারিত ওসিকে কলকাতা পুলিশ সাসপেন্ড করেছে। তাঁকেও সিবিআই গত শনিবার গ্রেফতার করেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও টালা থানার ওসিকে তোলে। কিন্তু আদালত থেকে বের হওয়ার সময় জমা হওয়া জনগণ সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) জুতো দেখান। যতবার সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আদালতে তোলা হয়েছে, জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছে। এদিন শুনানির জন্য তাঁদের আদালতে পেশ ও বের করার সময় তাঁদের লক্ষ্য করে তীব্র বিক্ষোভ দেখাল সাধারণ মানুষ। আদালত থেকে বের করার সময় কার্যত জুতো দেখায় সাধারণ মানুষ। উঠতে থাকে একের পর এক স্লোগান। আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।