আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়কে(Sanjay Rai) গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও বর্তমানে ওই তদন্ত করছে সিবিআই। তাই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন সিবিআই হেফাজতে। অবশ্য বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়।
শুক্রবার তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। কিন্তু জেলে ঢুকে কী করছেন সঞ্জয়? সূত্রের খবর, জেলে ঢুকেই কারারক্ষীদের হাতজোড় করে আর্জি জানায় অভিযুক্ত সঞ্জয়। তাকে শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়ার আবেদন করে সে। এমনকী নানা সময় বিড়বিড় করছে সে।
শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েই হাবভাব বদলে যায় সঞ্জয়ের। জেল সূত্রে খবর, জেলে তাকে অনুরোধ করতে দেখা গিয়েছে। এক কারারক্ষী সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বলছে, ”জেরায় জেরায় আমি খুব ক্লান্ত। আমাকে খেতে দিতে হবে না। শান্তিতে একটু ভাল করে ঘুমোতে দিন।” পলিগ্রাফ টেস্ট করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। শুক্রবার ধৃত সঞ্জয়ের সম্মতি নেওয়ার জন্য তাকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করায় সিবিআই৷ সেখানেই সেকেন্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য সম্মতি দেয় অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই৷ পাশাপাশি সঞ্জয়কে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল শিয়ালদহ আদালত৷ সিবিআই-এর পক্ষ থেকেই সঞ্জয়ের জেল হেফাজত চাওয়া হয়েছিল, সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত৷
২১ নম্বর সেল থেকে শনিবার বেরোতে দেওয়া হয়নি সঞ্জয় রাইকে। ১০টা নাগাদ তাকে একবার বার করা হয় কড়া নিরাপত্তায়। ওয়ার্ডের অন্য বন্দিদের সরিয়ে দিয়ে তাকে সেল থেকে বার করা হয়। সেলের বাইরে সর্বক্ষণ মোতায়েন আছে কারারক্ষী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরায় নজর রাখা হচ্ছে। মাঝরাত থেকে সঞ্জয় পায়চারি করেছে সেলের মধ্যে। কারারক্ষীদের বারবার বলে চলেছে ‘আমি কিছু জানি না।’ আজও সেলে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে অভিযুক্তের। রবিবার পলিগ্রাফ টেস্টে কী বেরোয় সেটাই দেখার।