অভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সাজা ঘোষণার আগের মুহূর্তে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় (Sanjay roy)। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সঞ্জয় (Sanjay roy) এদিন আদালতে অভিযোগ তোলে, তাকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সিবিআইয়ের হেফাজতে মেডিক্যাল পরীক্ষা না করিয়েই তাকে (Sanjay roy) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং জোর করে বয়ানে সই করানো হয়েছে বলেও তার দাবি। অন্যদিকে, আজই দুপুর ২.৪৫ মিনিটে সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী অভয়া হত্যাকাণ্ডকে বিরলতম বলে উল্লেখ করেন এবং মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। অন্যদিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবী মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার আরজি জানান।
সোমবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ আদালত চত্বর ছিল কড়া নিরাপত্তার অধীনে। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সঞ্জয়কে আদালতে আনা হয়। দীর্ঘক্ষণ লকআপে রাখার পর, ১২টা ৪২ মিনিটে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে তার অপরাধ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন।
আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় দাবি করে, সে নির্দোষ। রুদ্রাক্ষের মালা প্রসঙ্গ টেনে বলে, “আমি মিথ্যা বললে মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত।” এসবের মাঝেই সঞ্জয় আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলে এবং বারবার বলে, “আমি নির্দোষ, আমি কিছু করিনি।” তবে বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “চার্জ প্রমাণিত। আপনি জানেন আপনি কী করেছেন। সব প্রমাণ আদালতের হাতে রয়েছে।”
সিবিআইয়ের আইনজীবী দোষীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করে বলেন, এটি বিরলতম ঘটনা। অন্যদিকে, সঞ্জয়ের পক্ষের আইনজীবী মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে বিকল্প শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানান। দীর্ঘ যুক্তিতর্কের পর বিচারক শাস্তি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সাজা কী হবে, তা জানা যাবে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে।
এদিন গ্রিন করিডর দিয়ে সঞ্জয় রায়কে নিয়ে আসা হয় আদালতে। শিয়ালদহ আদালতে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আদালত চত্বরে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।