পল্লব হাজরা,দক্ষিণেশ্বর: “রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে এই ধরণের একটা ঘটনা খুব লজ্জার। পুলিশকে বলবো এই ব্যাপারে নজর দিতে।” হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়।
হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যম খবর সম্প্রচার করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘যতটা পারবেন খবরের চ্যানেল দেখবেন না পরিবর্তে সিরিয়ালের চ্যানেল দেখুন।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যর এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বর থানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সৌগত রায় বলেন “একটা কথা সবাইকে চিন্তিত করছে, এটা সংবাদমাধ্যমের জন্য কিনা জানিনা, সকলেই চিন্তিত রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা এখানে একদম বরদাস্ত করা হবে না। কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে এই ধরণের একটা ঘটনা খুব লজ্জার। পুলিশকে বলবো এই ব্যাপারে নজর দিতে।“
রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষ এই মুহূর্তে ঠিক যে কথাটা এখন বলছেন ঠিক সেই কথাটাই একেবারে উগরে দিলেন বর্ষিয়ান এই প্রথম সারির রাজনীতিবিদ তথা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়। তবে সৌগত বাবুর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে নিঃসন্দেহে তাঁর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে যে অস্বস্তিতে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তিন তিনজন সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন রকম ভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা চালিয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ বুধবার যেমন অন্য আর এক সাংসদ শুখেন্দু শেখর রায় রাজ্যসভায় এনসিআরপি রিপোর্ট নিয়ে তিনি বলার চেষ্টা করেছিলেন ৯৩ শতাংশ বা ৯৭ শতাংশ এগুলো ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর ফল, এটাই এনসিআরপি রিপোর্টে বলা আছে আছে। এছাড়াও তিনি আরও অনেক কিছুই বলেছিলেন কিন্তু কি কারণে কোন সময়ে তিনি এই কথাগুলো বলছেন সেইসব প্রশ্নগুলো কিন্তু জনমানষে উঠে এসেছে ।
সেইদিক থেকে বলতে গেলে কিন্তু সৌগত বাবু একেবারে সোজাসাপটা বলেছেন। সৌগত বাবু একজন শিক্ষিত মানুষ,একজন অধ্যাপক। বর্ষীয়ান নেতা বহু দিনের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীও ছিলেন ফলে তাঁর এই মন্তব্য কিন্তু মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অনেক।