যৌন হয়রানির শিকার হয়ে গর্ভবতী হওয়া ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বড়সড় স্বস্তি দিল (SC Verdict) সুপ্রিম কোর্ট। এই নাবালিকা তার ২৮ সপ্তাহ (৭ মাস) গর্ভাবস্থা বন্ধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ নির্যাতিতার আবেদনের শুনানি করে তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়।
এর আগে বম্বে হাইকোর্টে নাবালিকার আবেদনের শুনানি হয়। সেই সময় বম্বে হাইকোর্ট কিশোরীকে গর্ভপাতের আদেশ দিতে অস্বীকার করে। এরপর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বম্বে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৪২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্ট এই কিশোরিকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার আদেশে বলেছেন যে গর্ভপাতের বিলম্বের প্রতিটি ঘন্টা শিশুর জন্য অসুবিধায় পূর্ণ।
সুপ্রিম কোর্ট ১৯ এপ্রিল এই নাবালকের মেডিক্যাল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছিল। যদি কিশোরী চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে গর্ভপাত করে অথবা তাঁকে গর্ভপাত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়, তাহলে তা কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের ওপর কি ধরণের প্রভাব পড়বে? আদালত মুম্বাই’র লোকমান্য তিলক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এলটিএমজিএইচ) কাছে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল।
মেডিকেল বোর্ড এই বিষয়ে স্পষ্ট মতামত দিয়েছে যে গর্ভাবস্থা অব্যাহত রাখা নাবালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ‘এতে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। যাইহোক, মেডিকেল বোর্ড মতামত দিয়েছে যে শিশুর জন্ম দেওয়ার চেয়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি কম রয়েছে, হাসপাতালের ডিনকে নাবালকের চিকিৎসা গর্ভপাত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি) আইনের অধীনে, বিবাহিত এবং বিশেষ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য গর্ভধারণের ঊর্ধ্বসীমা ২৪ সপ্তাহ। এই বিশেষ শ্রেণীর মধ্যে আছে, ধর্ষণের শিকার, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং নাবালিকা।