এবারের টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের (Semi Final) জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রাখলেও নেই দ্বিতীয়টির জন্য। নানা বাস্তবতার কারণেই এরকম নিয়ম রাখা হয়েছে। তবে বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থাও আছে। এরপরও যদি কোনও সেমিফাইনালে মাঠের ক্রিকেটে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করার পদ্ধতিও বেশ আগেই জানিয়ে রেখেছে আইসিসি।
এই ম্যাচের জন্য বাড়তি একটি দিন ধরে রাখা আছে। ত্রিনিদাদে আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার এই লড়াই শুরু হবে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায়। প্রথম দিনেই চেষ্টা করা হবে ওভার কমিয়ে হলেও ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার। নির্ধারিত সময়ের বাইরেও তাই বাড়তি ৬০ মিনিট সময় ধরে রাখা আছে।
এমনিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করার জন্য অন্তত ৫ ওভার খেলা হতেই হয়। তবে বিশ্ব আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য নিয়মটি ভিন্ন। এসব ম্যাচে খেলা হতে হবে কমপক্ষে ১০ ওভার করে। তাতেও শেষ না হলে রিজার্ভ ডে-তে বাড়তি থাকছে ১৯০ মিনিট সময়।
খেলা রিজার্ভ ডে-তে গড়ালে শুরু হবে সেখান থেকেই, আগের দিন যেখানে থেমেছিল। খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায় টস থেকেই। কাজেই টসের পর যদি বৃষ্টিতে সেদিন আর খেলা না হয়, রিজার্ভ ডে-তে নতুন করে টস করা বা একাদশ বদলানোর সুযোগ নেই। যদি রিজার্ভ ডে-তেও ম্যাচ শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে সুপার এইট পর্বে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থাকা দল পৌঁছে যাবে ফাইনালে। অর্থাৎ, এই ম্যাচ শেষ না হলে ফাইনালে উঠবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল
এই ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হবে এই ম্যাচ।প্রথম সেমিফাইনাল রাতের ম্যাচ হলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনাল পুরোপুরিই দিনের ম্যাচ। মূলত ভারতে ও এই উপমহাদেশে টেলিভিশন দর্শকদের প্রাইম টাইমে খেলা রাখার জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হোক বা রানার্স আপ, এই দ্বিতীয় সেমিফাইনাল তারা খেলবে, এটিও চূড়ান্ত করা হয় সূচি তৈরির সময়ই।
এই ম্যাচের রিজার্ভ ডে না রাখার আনুষ্ঠানিক কারণ আইসিসি ব্যাখ্যা করেনি। তবে কারণটি বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সূচি যে ঠাসা! এই সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাঝে বিরতি কেবল একদিনের। ম্যাচ রিজার্ভ ডে-তে গড়ালে জয়ী দলকে খেলতে হবে টানা দুই দিন। সেই পথে কোনো দলকে ঠেলে দেয়নি আইসিসি।
তাই এক দিনেই ম্যাচের ফল বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। অন্য ম্যাচের মতো তাই ১৯০ মিনিট নয়, নির্ধারিত সময়ের বাইরে মোট ২৫০ মিনিট বাড়তি সময় রাখা হয়েছে এই ম্যাচের জন্য। বাড়তি সময়েও ম্যাচ শেষ না করা গেলে সুপার এইট পর্বে এগিয়ে থাকায় ভারত চলে যাবে ফাইনালে।