অনশনের (Hunger Strike) চারদিন পার। ক্রমাগত অনশনরত(Hunger Strike) জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থায় অবনতি হচ্ছে। ধর্মতলায় অনশনে (Hunger Strike) জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত জন রয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অনশন (Hunger Strike) করছেন দুই জন চিকিৎসক। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন বাজি রেখে এভাবে আন্দোলন থেকে সরে আসার কাতর আবেদন জানান সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। অন্যদিকে, সপ্তমীদের সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ১২ ঘণ্টার প্রতীকি অনশনে বসলেন কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক।
সপ্তমীর দিন সকালে সিনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বাংলার মানুষের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিই আমাদেরও দাবি। কিন্তু ওঁরা তো আমাদের সন্তানসম। তাই চিন্তা হয়। এটাই বলার যে নিজেদের জীবন বাজি রেখে এই আমরণ অনশন নয়। আন্দোলন চলুক। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করে চলেছি যে জুনিয়র ডাক্তারদের যে দাবি তা সকলের। তাই প্রশাসনের উচিত আরেকটু উদার, আরেকটু মানবিক, আরেকটু সহনশীল হওয়ার। সে কথা আমাদের ছাত্রছাত্রী, ভাইবোন, জুনিয়র চিকিৎসকদের বলতে এসেছি।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা এল বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে সোমবার থেকে আংশিক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ।
অন্যদিকে, অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। আরজি করের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী সপ্তমীর সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা করে জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষা করে বলেন, অনিকেতের অবস্থা বিপজ্জনক। চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও এই অনশনের প্রভাব অনিকেতের লিভারের ওপর পড়তে শুরু করেছে। চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকরা। কিন্তু নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানার পরেও অনিকেত মাহাতো নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে।