শুক্রবার কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও বাংলাদেশ। কিন্তু, তার আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) টেস্ট এবং টি২০ ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করে ফেললেন। তবে, বাংলাদেশী ভক্তদের জন্য সুখবরটি হ ‘ল সাকিব আল হাসান তার বিবৃতিতে বলেছেন যে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টের জন্য উপলব্ধ থাকবেন, অর্থাৎ তিনি কানপুর টেস্ট খেলতে পারবেন, তবে অলরাউন্ডার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্টের পরে এই ফর্ম্যাটটি ছেড়ে দেবেন।
সাকিব (Shakib Al Hasan) বলেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি’। যার অর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সাকিব আল হাসানের শেষ ম্যাচ। সাকিবের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে।
চেন্নাই টেস্ট সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) জন্য হতাশাজনক ছিল। প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান একটিও উইকেট পাননি। তিনি প্রথম ইনিংসে ৩২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রান করেন। এরপরই সাকিব আল হাসানের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তমিম ইকবাল অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে প্লেয়িং ইলেভেনে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আহত হওয়া সত্ত্বেও ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য সাকিব আল হাসানকে প্লেয়িং ১১-এর অংশ করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তমিম ইকবাল।
বাংলাদেশের হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন, সাকিব আল হাসানকে (Shakib Al Hasan) নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই মুহূর্তে আমি আমার ফিজিও বা কারও সঙ্গে কথা বলিনি, তবে সে এখনও নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ। তবে তিনি মনে করেন, সাকিবকে তার খেলার উন্নতি করতে হবে। শুধু সাকিবের পারফরম্যান্স নয়, সবার পারফরম্যান্সে আমি হতাশ, চেন্নাইয়ে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমি নিশ্চিত, সাকিব জানবে যে তাকে আরও ভালো করতে হবে।
তবে ওয়ানডে নিয়ে কিছু জানননি সাকিব। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও বিদায় নেবেন তিনি। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব (Shakib Al Hasan) জানিয়েছিলেন ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত খেলতে চান তিনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিব বাংলাদেশের হয়ে ১২৯ ম্যাচে ২৫৫১ রান করেন। ফিফটি আছে ১৩টি। উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টি।