ভারতের নতুনতম বিমান সংস্থা শঙ্খ এয়ার (Shankh Air) পরিষেবা শুরু করার জন্য কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অনুমোদন পেয়েছে। তবে উড়ানের আগে বিমান সংস্থাটিকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর অনুমোদন নিতে হবে। এই বিমান সংস্থা উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও নয়ডাকে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি করে তুলবে। নতুন প্রজন্মের বোয়িং 737-800 NG উড়োজাহাজ দিয়ে পরিষেবা শুরু করতে চলেছে শঙ্খ এয়ার।
শঙ্খ এয়ারের (Shankh Air) ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি উত্তরপ্রদেশের প্রথম বিমান সংস্থা হতে চলেছে। সংস্থাটি দেশের সমস্ত প্রধান শহরে পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি কেবল উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই নয়, বাইরেও উচ্চ চাহিদা এবং কম বিমানের রুটে পরিষেবা শুরু করবে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুমোদন অনুযায়ী, সংস্থাটিকে এফডিআই এবং সেবি-র নিয়মকানুনও মেনে চলতে হবে। মন্ত্রকের জারি করা এনওসি তিন বছরের জন্য বৈধ।
ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়া বর্তমানে ভারতের অসামরিক বিমান (Shankh Air) চলাচলের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে। ইন্ডিগোর ৬৩ শতাংশ বাজার রয়েছে। এটি দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা। অন্যদিকে, টাটা গোষ্ঠীর অধীনে আসার পর এয়ার ইন্ডিয়াও দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। ভিস্তারার সঙ্গে এর সংযুক্তিকরণ চলতি বছরের নভেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী বছর, এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসকে একত্রিত করার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে তার শক্তি বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য সংস্থাগুলি এই দুই বড় খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কঠিন বলে মনে করছে। জেট এয়ারওয়েজ, কিংফিশার এয়ারলাইনস এবং গোএয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, স্পাইসজেটও আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে। স্পাইসজেটের মার্কেট শেয়ারও ৭৫ শতাংশ কমে মাত্র ২.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তবে, আকাসা এয়ার এবং ফ্লাই৯১-এর মতো নতুন সংস্থাগুলিও দ্রুত বর্ধনশীল বিমান পরিবহণ খাতে তাদের জায়গা করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আকাসা এয়ারের মালিক ছিলেন প্রয়াত রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। ফ্লাই৯১-এর পিছনে রয়েছেন হর্ষ রাঘবন ও মনোজ চাকো। সম্প্রতি, আফি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এয়ার কেরালাও অনুমোদন পেয়েছে। এখন শঙ্খ এয়ারের (Shankh Air) প্রবেশের ঘোষণার পর নতুন সংস্থাগুলির মধ্যে বাজারের অংশীদারিত্ব দখলের লড়াই আরও তীব্র হতে পারে।