কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor) সম্প্রতি তাঁর এক বক্তব্যের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি পোস্ট দিয়ে বিতর্কটি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে থারুর বলেছিলেন, “দলের যদি আমার প্রয়োজন না হয়, তাহলে আমার অনেক কিছু করার আছে।” এই মন্তব্যটি রাজনৈতিক বিকল্প খোঁজার ইঙ্গিত হিসেবে নেয়ার কারণে কিছু সংবাদমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়, যা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল।
থারুর এখন স্পষ্ট করেছেন, তাঁর মন্তব্যে “বিকল্প” শব্দটি রাজনৈতিকভাবে নয়, বরং সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডে সময় কাটানোর প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম যে সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডে সময় কাটানোর জন্য আমার কাছে অনেক বিকল্প আছে, যা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।” এর পরই মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য শুরু হয়।
থারুর আরও বলেন, “সেই দিনগুলিতে আমি যে অপমান, অপবাদ ও নিন্দার শিকার হয়েছি, তা কেউ ভাবেনি, তাও কারণ আমি যা বলিনি।” তিনি সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে জানান, “মুক্ত সংবাদমাধ্যম ছাড়া আমাদের গণতন্ত্র চলতে পারে না, কিন্তু সাংবাদিকতার মানের উন্নতি আশা করা কি ভুল?” তিনি মন্তব্য করেন, “কম সাংবাদিকতা নয়, ভালো সাংবাদিকতা আশা করা উচিত।”
এমন পরিস্থিতিতে থারুর দাবি করেন, জনসাধারণের ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতা এড়িয়ে চলার জন্য কী সুরক্ষা থাকতে পারে, তা ভাবা উচিত। তিনি একে গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শশী থারুর একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তিরুবনন্তপুরমের চারবারের সাংসদ। তবে, তাঁর “বিকল্প” বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি, এবং দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।