ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন (Shibu Soren) মারা গেছেন। দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ‘দিশম গুরু’ নামে পরিচিত, শিবু সোরেন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি এবং নীতিন গডকরি
কিছুদিন আগে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সাথে দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে গিয়ে শিবু সোরেনের (Shibu Soren) স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছিলেন। শিবু সোরেন ২০২৫ সালের জুন থেকে দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তাকে ব্রেন স্ট্রোক এবং কিডনি সম্পর্কিত সমস্যার জন্য ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন
শিবু সোরেন (Shibu Soren) ছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশিষ্ট নেতা। তিনি দিশোম গুরু নামেও পরিচিত ছিলেন। শিবু সোরেন ১৯৪৪ সালের ১১ জানুয়ারী ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার (পূর্ববর্তী বিহারের হাজারীবাগ জেলা) নেমরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি তিনবার (২০০৫, ২০০৮ এবং ২০০৯) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে, তিনি কখনও তার মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
আদিবাসীদের অধিকারের জন্য দীর্ঘ লড়াই
শিবু সোরেন (Shibu Soren) ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আদিবাসীদের অধিকারের জন্য ‘ধনকতনি আন্দোলন’ শুরু করেছিলেন। এর আওতায় তিনি মহাজন ও মহাজনদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুমকা থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন এবং বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে, জেএমএম ঝাড়খণ্ডকে একটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।