কয়েকদিন আগেই তিনি (siddiqullah chowdhury) মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে বাড়াবাড়িভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। এবার কার্যত উল্টো সুরে কথা বললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (siddiqullah chowdhury)। এবার তিনি (siddiqullah chowdhury) দাবি করলেন, বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভালো করতে তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানো হোক। তাহলেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঠিক হবে বলে তিনি দাবি করলেন। তিনি বলেন, “ওঁদের বোঝাতে হবে, ভারতের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেও নমাজ-সহ সব কিছু করতে পারে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে। মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে একাধিকবার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বার বার হুঙ্কার দেন বাংলাদেশের সরকারকে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি বাহিনী পাঠানোর অভিযোগ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “বাড়াবাড়ি হচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিজেপি নিয়ে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বসে রয়েছেন হিন্দুরা। থানার বড় বাবু, বিচারপতি, এসপি, ডিএম, কত হিন্দু। এগুলো দেখা যায় না? মাদ্রাসার ছেলেরা মন্দির পাহারা দিয়ে পুজো করার সুযোগ করে দিয়েছে। এগুলো দেখতে পান না? পালটা হামলা যারা করছে, তারা অস্থির মস্তিষ্কের। বাংলাদেশে কোথায় কি ঘটেছে, প্রকৃতপক্ষ কতটা… অত্যাচার হলে নিশ্চিত ভাবে তার নিন্দা করতে হবে। তবে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”
এই প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “এখানে যখন বাবরি মসজিদের বিষয়ে বাংলাদেশ মুখ খুলেছিল, তখন মোদীজি বলেছিলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউনুস সাহেবও ভালো উত্তর দিয়েছেন – এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সন্ন্যাসী যদি অপরাধ করে অপরাধী, ইমাম অপরাধ করলে অপরাধী। ভালো সন্ন্যাসী হলে কি অপরাধ করবে? সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ৪০ বছর ধরে কাজ করছে, সবার সামনে বলছি, ক’টা থানায় কেস দেখেছেন? অপরাধ হল অপরাধ। ” কিন্তু তার পরে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদল করতে তাঁকে সেদেশে পাঠানো হোক।