সিঙ্গাপুরে (Singapore) ভারতীয়রা প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো ফল করছে। এর মধ্যে প্রধানত পড়াশোনা ও মাসিক আয়ের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। সিঙ্গাপুরে ভারতীয়দের পরিস্থিতির কথা বললে, ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ। এর মধ্যে ৭.৬ শতাংশ ভারতীয়, ১৫.১ শতাংশ মালয় এবং ৭৫.৬ শতাংশ চীনা সম্প্রদায়ের মানুষ।
সিঙ্গাপুরে (Singapore) বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের উন্নতি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা ও আয়ের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গত কয়েক বছরে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী কে. শানমুগাম এই তথ্য জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ভারতীয়দের মধ্যে মাত্র ১৬.৫ শতাংশ স্নাতক ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ, এখন প্রতি ১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে প্রায় ৪ জন স্নাতক। মন্ত্রী শানমুগাম জানিয়েছেন, এর কিছু অবদান নতুন অভিবাসীদেরও রয়েছে, তবে বেশিরভাগ উন্নতি স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের পরিশ্রম ও বিকাশের কারণে হয়েছে।
স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে
স্কুল ছেড়ে দেওয়া ভারতীয় ছাত্রদের সংখ্যাতেও বড়সড় পতন দেখা গেছে। ২০০০ সালে যেখানে ৩৮ শতাংশ ভারতীয় ছাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারত না, সেখানে ২০২০ সালে এই সংখ্যা কমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও মন্ত্রী বলেছেন যে, এতে আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আরও ভালো করতে পারি কারণ প্রতি পাঁচজনে একজন ছাত্রের স্কুল ছেড়ে দেওয়াও বেশি, তবে আগে তো এটা প্রতি চারজনে একজন ছিল।”
ভারতীয়দের আয়েও বড় বৃদ্ধি
ভারতীয় পরিবারগুলোর গড় মাসিক আয়ে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। জানিয়ে রাখি, ২০১০ সালে গড় মাসিক আয় ছিল ৬,০০০ সিঙ্গাপুরি ডলার এবং ২০২০ সালে এটি বেড়ে ৮,৫০০ সিঙ্গাপুরি ডলার হয়েছে। ২০২৪ সালেও আয়ে উন্নতি দেখা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর মাসিক আয়ে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সিন্ডার বিশেষ অবদান
সিঙ্গাপুর ইন্ডিয়ান ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিন্ডা) ভারতীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২৪ সালে সিন্ডা প্রায় ৩১,৫০০ জনকে সাহায্য করেছে। এর মধ্যে ৫৭৮টি সহযোগী সংস্থা এবং ৪০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই সময়কালে সিন্ডা ১.৭ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার অনুদানও পেয়েছে। সিন্ডার সিইও আনবারাসু রাজেন্দ্রন বলেছেন যে, এটি সমাজ ও অংশীদারদের সহযোগিতাতেই সম্ভব হয়েছে।