সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। তবে, এটি এখন দোহা এবং সিউলের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি। এই কারণে সিঙ্গাপুর (Singapore) সরকার চাঙ্গি বিমানবন্দরের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অতিরিক্ত ৩.৭ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার ব্যয় করার কথা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং সিঙ্গাপুরের ২০২৫ সালের বাজেট চলাকালীন নতুন এই বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেন, যার মধ্যে জনগণের জন্য নগদ অর্থ প্রদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও পঞ্চম টার্মিনাল
এই নতুন বিনিয়োগের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে চাঙ্গি বিমানবন্দরের পঞ্চম টার্মিনাল নির্মাণ। লরেন্স ওং জানান, এই টার্মিনালটি নির্মাণের পর বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা সিঙ্গাপুরকে বৈশ্বিক বিমান চলাচল ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রাখবে। চাঙ্গি বিমানবন্দর ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের জন্য একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করছে, যেখানে ১০০টিরও বেশি বিমান সংস্থা কাজ করছে এবং এটি এশিয়ার বৃহত্তম ট্রানজিট হাব। ২০১৩ সালে টার্মিনাল ৫ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তবে কোভিড মহামারির কারণে এই প্রকল্পে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে।
অতিরিক্ত বিনিয়োগ ও নগদ প্রণোদনা
এছাড়া, সিঙ্গাপুর সরকার চাঙ্গি বিমানবন্দর উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত ৩.৭ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার ব্যয়ের পাশাপাশি জনগণের জন্য নতুন নগদ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে প্রতিটি পরিবারকে ৮০০ সিঙ্গাপুর ডলার মূল্যের ভাউচার প্রদান করা হবে, যা উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় ও চাকরির দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
আগের বিনিয়োগ
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের উন্নয়নে ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার ব্যয় করা হয়েছে ২০১৫ সালে, এবং এরপর ২০১৬ ও ২০২৩ সালে যথাক্রমে ১ বিলিয়ন ও ২ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার ব্যয় করা হয়েছিল। এই ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে চাঙ্গি বিমানবন্দর তার আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে এবং সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের অবদান রাখবে।
সিঙ্গাপুর সরকার চাঙ্গি বিমানবন্দর ও জনগণের জন্য তার উন্নয়ন ও সহায়তার উদ্যোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি নিশ্চিত করবে যে, সিঙ্গাপুর তার শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে তার গুরুত্ব বজায় রাখবে।