২০১৬ সালের SLST পরীক্ষায় বৈধভাবে (SLST Protest) চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা দুর্নীতির অভিযোগে নিজেদের দোষমুক্ত প্রমাণ করতে পথে নেমেছেন। আজ করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের পাশাপাশি, নবান্ন ও SSC ভবনে স্মারকলিপি জমা দেবেন তাঁরা (SLST Protest) । ক্রমেই জোড়াল হচ্ছে প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ(SLST Protest) শাসকদলকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে মিছিলের আগে কলকাতার ওয়াই চ্যানেলের ধর্নামঞ্চে মাথা কামিয়ে প্রতিবাদ জানান চাকরিপ্রাপ্তরা। তাঁদের দাবি, “যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আলাদা করে প্রকাশ করা হোক। আমরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই।”
এক চাকরিপ্রাপ্ত বলেন, “আমাদের একমাত্র অপরাধ, আমরা ২০১৬ সালে বৈধভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু সেই কারণেই আজ কলঙ্কিত হতে হচ্ছে। এই ‘অপরাধের’ প্রায়শ্চিত্ত করতেই মাথা কামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
২০২৩ সালে চাকরিপ্রার্থীদের মাথা কামানোর প্রতিবাদের পর এবার একই পথে হাঁটলেন চাকরিপ্রাপ্তরাও। তাঁদের দাবি, দুর্নীতির প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক এবং সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হোক।
চাকরিপ্রাপ্তদের এই প্রতিবাদ শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। মিছিল ও স্মারকলিপি জমার মাধ্যমে তাঁদের দাবি সরকার এবং প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতার দাবিতে এই আন্দোলন বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালের SLST পরীক্ষার প্যানেল হাইকোর্ট বাতিল করে দেয়। যার জেরে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারায়। পর্ষদ যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করতে অস্বীকার করে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, কোনওভাবেই সেই তালিকা আলাদা করা সম্ভব নয়। এরপরেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, অযোগ্য ও যোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয়। সেই তালিকা আলাদা করতে হবে।