সালিশিসভায় শ্যালিকাকে মারধরের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই পলাতক এই ‘তৃণমূল’(tmc) কর্মী। দলও তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে সামনে আসছে জামালের(Sonarpur Jamal) একের পর এক কুকীর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন স্থানীয় মহিলারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই জামালের আয়ের উৎস বলতে পারেননি। তবে একাংশের দাবি, জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং জমি বিক্রি এইসব করেই নাকি পেট চলে জামালের (Sonarpur Jamal)।
বাড়িতেই বসত ‘বিচারসভা’। স্থানীয় মহিলা রুবিজান বিবির দাবি, তাঁর স্বামী শাহরুখ শেখকে চেন বেঁধে রাতভর উলটো করে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন জামাল। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। তাঁকে বাঁচানোর জন্য জামালের হাতে-পা ধরলেও কোনও লাভ হয়নি। উলটে তাঁকেও মারধর করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তাঁরা। সোনারপুরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গেও দহরম মহরম ছিল জামালের (Sonarpur Jamal)। মঙ্গলবার প্রথম সোনারপুরের এই জামালউদ্দিন সর্দারের খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, শিকলে দিয়ে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা এলাকায় দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না। তবে জামালকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে মানতে চাননি স্থানীয় বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তাঁর কথায়, “আইন আইনের পথে চলবে। অভিযুক্ত জামালকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”