শোভন চট্টোপাধ্য়ায় (Sovan Chatterjee) কি তৃণমূলে(tmc) ফিরতে পারেন? এই জল্পনার মধ্য়েই শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে নিয়ে তৃণমূলে মতানৈক্য় প্রকাশ্য়ে চলে এল। জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়ে দিলেন, দলে ফিরতে চাইলে শোভনকে আবেদন করতে হবে। দলেরই রাজ্য সহ সভাপতিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আমাদের এখানে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক পাশে আছেন সুব্রত বক্সী, অন্যপাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাদি চাইলে নিশ্চয়ই আসতে পারবেন। কিন্তু তাঁর যে ইচ্ছে হয়েছে, এরকম আমরা পাইনি। যদি হয় সামনে আসবে। পার্টির ইচ্ছে হতে হবে তো! তাকে তো আবেদন করতে হবে! আবেদন করে ইচ্ছে প্রকাশ করতে হবে।”
পাল্টা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “শোভন ( Sovan Chatterjee) যাতে দলে না ঢোকে, যাতে না আসে, তার বিরোধিতা শুরু হয়ে গেছে। কয়েকজন আন্দোলন করতে শুরু করে দিয়েছে। যারা দিদিকে গালাগাল দিল, আবার হারলো, তারা দরখাস্ত করেছিল বলে তো শুনিনি! দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করি। মমতাদির সঙ্গে আছি। এখন কানে লাগে, যারা নতুন এসেছে, তারা যখন জ্ঞান দেয়।” দলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “শোভনদার গোটা বিষয়টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির জায়গা আছে বলে মনে হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁর। আমাদের কোনও থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার এটা বিষয়ে মতামত দেওয়ার কোন অর্থই হয় না।”
জয়প্রকাশ মজুমদারের এই বক্তব্যে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, “গেঞ্জির আবার বুক পকেট। তৃণমূল কংগ্রেস দলে যাবে, তার আবার আবেদন। জয়প্রকাশ মজুমদারকে আমরা সাসপেন্ড করেছিলাম, দলবিরোধী কাজের জন্য়। সাসপেন্ডেড লিডার হঠাৎ করে দেখলাম তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছে! কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় খুব সঙ্গত প্রশ্ন করেছেন।”