Corruption in JSCA: আইপিএলের মাঝেই দুর্নীতির অভিযোগে ঝাড়খন্ড ক্রিকেট সংস্থা, তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার

Jharkhand

বড়সড় দুর্নীতির (Corruption in JSCA) অভিযোগ উঠল ঝাড়খন্ড ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে। যার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইপিএলের জমাটি ক্রিকেটের মধ্যেই দুর্নীতির খবরের সর-কারণ দেশের ক্রিকেট মহল।

ঝাড়খণ্ডের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে। যার মধ্যে আছে আর্থিক তছরুপের মতো অভিযোগ। ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার (জেএসসিএ) প্রাক্তন সভাপতি এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার প্রয়াত অমিতাভ চৌধুরীর স্ত্রী নির্মল কৌর অভিযোগ এনেছেন বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তবে শুধু ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থা নয়, দুর্নীতি কাণ্ডে নাম উঠে আসছে কাউন্ট্রি ক্রিকেট ক্লাবের, যারা মূলত জেএসসিএ-এর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। ক্লাবের অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হয় না বলে অভিযোগ এনেছেন নির্মল কৌর। ক্লাবের মোট আয়ের হিসেব নেই। এমনকি তিনি অভিযোগ করেছেন যে বিদ্যুতের বিল এবং ক্লাবের রক্ষনাবেক্ষন বিল বিসিসিআই অনুদান থেকে পরিশোধ করা হচ্ছে। ক্লাবের আয় ভুয়ো দরপত্রে ব্যবহার কড়া হয় এবং পরিচালন সমিতির সদস্যরা ক্লাবের আয় দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করছেন।

অভিযোগ উঠেছে রাজীব কুমার সিং বিহারের পাটনাতে থাকা সত্ত্বেও জেএসসিএ স্টেডিয়ামের মধ্যে স্থায় কোয়ার্টার নিজের দখলে রেখেছেন। ২০২৩ সালে নির্মল কৌর ঝাড়খণ্ড পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যার ফলে ধুরওয়া থানায় একই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজীব কুমার সিংহের সঙ্গে জেএসসিএ-এর কিছু পদাধিকারী বেআইনিভাবে অমিতাভ চৌধুরীর মৃত্যুর পর পরই অমিতাভ চৌধুরীর জন্য মনোনীত চেম্বার থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন। আপাতত গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই বিষয়ে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক ৭ মার্চ একটি নির্দেশ জারি করে। যেখানে নির্মল কৌরের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রকের আঞ্চলিক প্রধানকে কাউন্ট্রি ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, যেভাবে জিমখানা ক্লাবের সদস্যপদ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, ঠিক একই পদ্ধতি কাউন্ট্রি ক্লাবের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে। ক্লাবের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। এমনকি তার হিসেবও দেওয়া হচ্ছে না। দেশের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা থেকে আসা অনুদানের মাধ্যমে আর্থিক ঋণ শোধ করা হচ্ছে অথচ এই অর্থ ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ব্যয় করা উচিত ছিল।

Google news