নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ একুশের সাফল্যের আগেই পুর প্রশাসক নিয়ে বড় সাফল্য পেল রাজ্য সরকার। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। যার বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা হয় মামলা। এই নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই দুই মামলায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
করোনা আবহে মার্চ মাস থেকে জারি করা হয়েছে লকডাউন। আর জুন মাসে ফুরিয়ে যায় কলকাতা পুরসভার মেয়াদ। করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। সেই অবস্থায় পুরসভা পরিচালনা করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য। সেই সঙ্গে রাজ্যের আরও অনেক পুরসভায় নিয়োগ করা হয় প্রশাসক।
এই নিয়েই আপত্তি জানিয়ে মামলা দায়ের হয় আদালতে। কোনও প্রকারের অর্ডিন্যান্স না এনে একবলমাত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের প্রশাসক নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যের অন্যান্য পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করার আইন থাকলেও, কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে তা নেই। এই নিয়েই মূলত আপত্তি জানিয়ে শরদ সিং এবং বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা দায়ের করেন।
ওই দুই মামলায় মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ ২টি মামলা খারিজ করে জানায় যে, অতিমারী পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই অর্ডিন্যান্স আনার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন করারও পরামর্শ দিয়েছেন। মাঝে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল। দ্রুত শুনানির জন্য তা ফের হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত।
অন্যদিকে, কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক বসানো নিয়ে আপত্তি জানিয়ে যে মামলাটি করা হয়েছিল আজ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জানালেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসন ফিরহাদ হাকিম। সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন করো না এবং আম্ফান পরবর্তী সময়ে কাজ চালানোর জন্য প্রশাসন বসানো হয় এই পদ অলংকার বা অহংকার এর জন্য নয়।
এই পদ কাজ করার জন্য। অথচ রাজ্যপাল রাজনীতি করছেন টুইট করে বিরোধিতা করছেন। মিথ্যাচার বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। যারা মানুষকে বিপদে ফেলার জন্য হাইকোর্টে গেছিল তাদের পরাজয় হয়েছে মানুষের জয় হয়েছে।