Tmc leader shoot dead:গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল নেতা! উঠছে সিবিআই তদন্তের দাবি

রায়গঞ্জে উপনির্বাচনের রেজাল্ট বের হতে না হতেই চলেছে গুলি(shoot out)। ঝরছে রক্ত। গিয়েছে প্রাণ। টার্গেট ইসলামপুরের(Islampur) দুই তৃণমূল(tmc) নেতা। তার মধ্যে বাপি রায় নামে এক তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে শনিবার রাতেই। তিনি আবার ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মহম্মদ সাজ্জাদ নামে আরও এক তৃণমূল নেতা। তিনি আবার রামগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন চাপানউতোর। অন্যদিকে যে ধাবায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে গোটা ইসলামপুরই একেবারে থমথমে। দিকে দিকে মোতায়েন পুলিশ।

শনিবার বাংলার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলঘোষণা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়েছিল। রায়গঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তার পরেই রাতে ইসলামপুর শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন বাপি রায় ও মহম্মদ সাজ্জাদ নামে দুই তৃণমূল নেতা। নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। কয়েক জন দলীয় কর্মীও ছিলেন সেখানে। সেই সময় ৯-১০ জনের একটি দল ঘিরে ধরে তাঁদের উপর গুলি চালায়। বাপি ও সাজ্জাদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন।

সূত্রের খবর, এর আগে নকল মদ বানানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাপি রায়। এলাকায় ঠিকাদারি ছাড়াও জমির কারবার করতেন বাপি। বাপির স্ত্রী এবার প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন তৃণমূলের টিকিটে। এলাকাবাসীরা বলছেন, বিপুল অর্থবল বাপির।

বাপির স্ত্রী বলেন, ‘‘গুলিতে গুলিতে ওঁকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। বিকেলে কেউ ফোন করে ডেকেছিল। শুনেছি দলের অনেকে ছিলেন। বৈঠক হচ্ছিল। হঠাৎ আমাদের কাছে ফোন এল, শুনলাম কারা ওঁকে গুলি করেছে। ছুটে গিয়ে দেখলাম পড়ে আছে। চোখে, কাঁধে, কানে, বুকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। সিবিআই তদন্ত চাই।’’

Google news