এবার বীরভূম থেকে প্রচুর অস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে STF উদ্ধার করেছে। ধৃতের নাম মহম্মদ ফয়জল (STF)। ৩১ ডিসেম্বর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে (STF)। পুলিশ (STF) তদন্তে জানতে পেরেছে, এই অস্ত্র ব্যবসায়ী আসলে অস্ত্র পাচারচক্রের (STF) চাঁই। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে বীরভূমের সিউড়ি থানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া কেন্দুলি গ্রামের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতের। কোথা থেকে এই অস্ত্র আনা হতো, কোথায় এই অস্ত্র ব্যবহার করা হতো সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক দিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মেহতাব আলম নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল এসটিএফ। মেহতাব আলমের কাছ থেকে একটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়। মেহতাব আলম আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে তদন্তকারী আধিকেরা জানতে পারেন। বিহার থেকে অস্ত্র এনে কলকাতায় বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের। কে বা কারা কলকাতায় মেহতাবের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতো, সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে মেহতাব কোনও মন্তব্য করেনি।
মাস দেড়েক আগে কলকাতার কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। বিহার থেকে দুষ্কৃতী ভাড়া করে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ও কলকাতায় অভিযান চালিয়ে শিয়ালদহের কাছে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। নতুন করে গোয়েন্দাদের কাছে প্রশ্ন উঠছে, এত অস্ত্র যে পশ্চিমবঙ্গে আসছে, সেগুলো কারা কিনছে? কী কারণে অস্ত্র কেনা হচ্ছে, সেই নিয়েও গোয়েন্দাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, একের পর এক জঙ্গি বাংলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই জঙ্গিদের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।