মার্কিন নির্বাচনের (US Election) দিন, ভারতীয় শেয়ার বাজার ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কখনও এমন বিপর্যয় (Stock Market Crash) দেখেনি যা ২০২৪এ দেখতে পাওয়া গেল। সেনসেক্স ও নিফটির শেয়ারের দাম এক শতাংশেরও বেশি কমেছে। একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, এই ২০ বছরে আমেরিকার নির্বাচনে এমন অস্থিরতা আর কখনও দেখা যায়নি। ২০০৪ সালে সবাই জানত যে জর্জ ডব্লিউ বুশ ক্ষমতায় আসবেন। ২০০৮ সালে বারাক ওবামার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। পরবর্তী মার্কিন নির্বাচনেও (US Election) বারাক ওবামাকে নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগমনও অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ, রিপাবলিকানরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে ছিল।
২০২০ সালের লড়াই হয়তো কঠিন ছিল, কিন্তু সবাই আশা করেছিল যে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসবেন। তবে এবার লড়াই কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। কেউ জানে না কে আবার ক্ষমতায় আসবে। এই অনিশ্চয়তার ফলেই ভারতীয় শেয়ার বাজারেও পতন (Stock Market Crash) দেখা যাচ্ছে। গোটা আমেরিকা ট্রাম্পকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে রয়েছে। সবাই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ দেখেছে। কিন্তু এবার তিনি ক্রিপ্টো প্রেমীদের আকৃষ্ট করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের ট্রাম্পকে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এরই পাশাপাশি, কমলা হ্যারিস নির্বাচনের দৌড়ে একটু দেরিতে আসেন, কিন্তু তিনি তাঁর প্রচারের গতি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন এবং ওবামা থেকে আমেরিকার (US Election) অনেক বিলিয়নেয়ারের সমর্থন পেয়েছেন। এখন দেখা যাবে, নির্বাচনের ফলাফলের পর শেয়ার বাজার (Stock Market Crash) কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখটি ভারতের বিনিয়োগকারীরা এই তারিখটি একেবারেই ভুলতে পারবেন না। মার্কিন নির্বাচনের (US Election) দিন শেয়ার বাজারে এত বড় পতন (Stock Market Crash) আগে কখনও হয়নি। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শেয়ার বাজার বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৯৪১.৮৮ পয়েন্ট কমে ৭৮,৭৮২.২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে সেনসেক্স। ট্রেডিং সেশনে সেনসেক্সও ১৫০০ পয়েন্ট কমে ৭৮,২৩২.৬০ পয়েন্টের নিচে নেমেছে। অন্যদিকে, NSE Nifty ৩০৯ পয়েন্ট কমে ২৩,৯৯৫.৩৫-এ দাঁড়িয়েছে। নিফটিও দিনের সর্বনিম্ন ২৩,৮১৬.১৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।