মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চা বাগানের শ্রমিকরা বোনাসের দাবিতে বনধ (Strike in Darjeeling) ডাকেন। পাহাড়ে ওঠা-নামার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন বনধ (Strike in Darjeeling) সমর্থকরা। রোহিনী গেট আটকে পিকেটিং(Strike in Darjeeling) করা হয়েছে। যার জেরে আটকে পর্যটক (Strike in Darjeeling) থেকে সাধারণ মানুষ।
বনধকে (Strike in Darjeeling) কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে কার্শিয়াংয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। বনধ হঠাতে যায় কার্শিয়াংয়ের পুলিশ। বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের গণ্ডগোল শুরু হয়। পাহাড়ে ওঠার রাস্তা রোহিনী থেকে শুরু হয়। সেই রাস্তাই আটকে রেখেছে বনধ সমর্থনকারীরা। যার জেরে বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন বলেন জানা গিয়েছে। আটটি শ্রমিক সংগঠন এই বনধকে সমর্থন করছেন বলে জানা গিয়েছে।
আন্দোলনকারী নেতা বলছেন, “তরাই-ডুয়ার্সে ২০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে এখনও হয়নি। আমরা রবিবারও মিটিংয়ে বসেছিলাম। কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আটটা শ্রমিক সংগঠন মিলে বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুঝতে পারছি পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই।” যদিও কিছুদিন আগে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই দাবি মেনে নিয়েছেন চা বাগান কর্তৃপক্ষরা।
অন্যদিকে, পর্যটকরা জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ। আমাদের নীচে নামার কোনও অপশন নেই। বাধ্য হয়েই আমাদের পাহাড়ে থাকতে হবে। অন্যদিকে, বন্যা পরিস্থিতি দেখতে রবিবারই উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উত্তরকন্যাতে বসে রবিবার বৈঠক করেন। তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে জানান, নেপালের জলে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা ভাসতে পারে।
নেপালে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতিতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার প্রভাব বিহার ও বাংলায় পড়তে চলেছে। কোশী নদীর বাঁধ ছয় লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে। পাঁচ লক্ষ কিউসেক হারে গণ্ডকের বাঁধ জল ছাড়ছে। তাতেই অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এর জেরে বিহারে বন্যা অনিবার্য। তার প্রভাব বাংলায় পড়তে পারে।