একটি অদ্ভুত যন্ত্র (Suicide Pod) উদ্ভাবন করল সুইজারল্যান্ড, যা দেখে মানুষ খুবই অবাক। এখানে যারা আত্মহত্যা করতে চান, তাদের জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে যে কেউ একটি বোতাম টিপে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারবেন। স্পেস ক্যাপসুলের মতো দেখতে যন্ত্রটির নাম সুইসাইড পড (Suicide Pod)। নির্মাণকারী দ্য লাস্ট রিসর্টের দাবি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো সুইসাইড পড ব্যবহার করা হবে। চিকিৎসা ছাড়া একজন মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। এএফপি-র মতে, যন্ত্রটি ভিতর থেকে অক্সিজেনকে নাইট্রোজেনে রূপান্তরিত করে, যার ফলে ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এই প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করা হবে, অর্থও দিতে হবে
যদি কেউ আত্মহত্যা করতে চান, তাহলে তাকে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে। যেমন আপনার নাম কি, আপনি কোথায় থাকেন এবং তারপর জিজ্ঞাসা করা হবে, কেন আপনি এমন করতে চান। যখন কোনও ব্যক্তি মেশিনে (Suicide Pod) বসে বোতামটি টিপবেন, পরবর্তী ৩০ সেকেন্ডে বাতাসে অক্সিজেন ২১ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশে নেমে আসবে এবং পরবর্তী ৩ থেকে ৪ মিনিটের মধ্যে ব্যক্তি চিরকালের মতো ঘুমিয়ে পড়বে।
দ্য লাস্ট রিসর্টের প্রধান নির্বাহী ফ্লোরিয়ান উইলেট বলেছেন যে একবার বোতামটি টেপা হয়ে গেলে অন্য কোনও বিকল্প নেই। যন্ত্রটির উদ্ভাবক ফিলিম নিৎশে ব্যাখ্যা করেছেন যে, ব্যক্তিটি ক্যাপসুলের মধ্যে উঠে ঢাকনাটি বন্ধ করে দেয়। যন্ত্রটি ভিতরে শুয়ে থাকা ব্যক্তিকে প্রাক-রেকর্ড করা প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করে, যেমন তিনি কে, তিনি কোথায় আছেন এবং বোতামটি টিপলে কী হবে, তা তার জানা আছে কিনা।
দম্পতিরাও একসঙ্গে জীবন দিতে পারবেন
মেশিনটি (Suicide Pod) ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী কোনও ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। যন্ত্রটি ব্যবহারের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। বর্তমানে এর মুল্য ২০ ডলার স্থির করা হয়েছে। যাইহোক, সংস্থাটি একটি ডাবল মেশিন (Suicide Pod) তৈরির চেষ্টা করছে যাতে দম্পতিরা একসাথে তাদের জীবন শেষ করতে পারেন। ভবিষ্যতে এর দাম প্রায় ১৫,০০০ ইউরো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।