কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান খুঁজতে জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি (Suicide)। রবিবার সেই জ্যোতিষীর বাড়িতে আসার কথাও ছিল (Suicide)। কিন্তু তার আগেই নিজের বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হলেন এক শিক্ষক (Suicide)। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডানকুনিতে (Suicide)।
মৃত শিক্ষকের নাম কৌশিক হালদার (৪৩)। তিনি একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর স্ত্রীও শিক্ষকতা করেন। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। স্ত্রীর কান্নায় ভেঙে পড়ার পাশাপাশি, স্তম্ভিত প্রতিবেশীরাও। কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না, কেন এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিলেন কৌশিকবাবু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি হাউজিংয়ের ডি ৩৩ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন কৌশিক হালদার। শুক্রবার বিকেলে তাঁর ছেলে স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির কলিং বেল বাজায়। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে সে মাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়।
এরপর প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং সবাই মিলে দরজা খুলতে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় শেষমেশ দরজা ভেঙে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন কৌশিকবাবু। তাৎক্ষণিকভাবে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডানকুনি থানার পুলিশ। তাঁরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন কৌশিকবাবু। কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যার কারণে তিনি অস্থির ছিলেন। সেই কারণেই রবিবার এক জ্যোতিষীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কৌশিকবাবুর সঙ্গে তাঁদের সুসম্পর্ক ছিল। কোনও সমস্যা কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তাই আচমকা এই আত্মহত্যার ঘটনায় হতবাক সকলেই।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে মানসিক অবসাদের কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের সমস্যার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।