আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের এক এমবিবিএস ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারে তাঁর (RG Kar) দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার মা ওই হাসপাতালেই কর্মরত (RG Kar) । আর বাবার কর্মস্থল মুম্বই হওয়ায় তিনি মা’র সঙ্গেই কোয়ার্টারে থাকতেন (RG Kar)। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা মুম্বই থেকে ছুটে আসেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, যদিও এখনও আত্মহত্যার কারণ স্পষ্ট নয় (RG Kar)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রী ছিলেন। সহপাঠীদের মতে, তিনি সাধারণত শান্ত স্বভাবের ছিলেন। শুক্রবার, যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন তিনি কোয়ার্টারে একাই ছিলেন।
সন্ধ্যার দিকে তাঁর মা একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। সন্দেহ হওয়ায় দ্রুত কোয়ার্টারে পৌঁছে দরজা ভেঙে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রী। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মেয়ের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেননি তাঁরা। ফলে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কামারহাটি থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তদন্তের স্বার্থে পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার আসল কারণ জানতে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
৯ আগস্ট আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ চেস্ট বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তরুণীর পরিবারকে জানানো হয়, ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছে। পরে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ঘটায় সারা দেশ উত্তাল হয়ে পড়ে। রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। ঘটনায় শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।