শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার রাধামোহনপুরে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখতে এসে সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্রর মোদী সরকার ও রাজ্যের মমতা সরকারকে একযোগে আক্রমণ করলেন। পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য তিনি বললেন, “মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের লাগামছাড়া ট্যাক্সের জন্য। ৮৪ টাকার ডিজেলে কেন্দ্র ট্যাক্স নেয় ৩৩-৩৪ টাকা, রাজ্য নেয় ২০ টাকা। ১ লিটার ডিজেলের প্রকৃত মূল্য ৩০ টাকা। ট্যাক্সের নামে লুট করছে কেন্দ্র ও রাজ্য। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।
বাম আমলে রাজ্য ১ লিটার ডিজেলে ট্যাক্স নিত ৩-৪ টাকা। আমরা বারবার আবেদন করেছি, পেট্রোল – ডিজেলকে জিএসটি’র আওতায় আনা হোক। কেন্দ্র এখন ভোটের আগে জিএসটি ‘র আওতায় আনা নিয়ে নাটক শুরু করেছে।” সুজন বাবু এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে “নবান্ন” যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্কুটারে চেপেছেন ভালো কথা! আমরাও এর আগে দিল্লিতে সাইকেলে চেপে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তবে মুখ্যমন্ত্রীর স্কুটারে চাপা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ আছে। এর আগে তিনি ছত্রধর মাহাত’র স্কুটারে চেপে জঙ্গলমহলে গিয়েছিলেন। তারপরই জঙ্গলমহলে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ মরেছে, আর উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন! আর তাঁর সেই সময়ের সারথী, জেলফেরত মাওবাদী ছত্রধর এখন তৃণমূলের বড় নেতা! এবার যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সারথী ববি হাকিম, তবুও তাঁর এই নাটক আমাদেরকে অতীতের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।”
বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী এদিন নবান্ন অভিযানে গিয়ে, বাঁকুড়ার মইদুল ইসলাম মিদ্যা’র মৃত্যু এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দীপক পাঁজা’র এখনও নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার তথা রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে জানিয়েছেন, “একজনকে লাশ বানিয়ে দিয়েছে, আর একজন এখনও নিখোঁজ। আমরা আদালতে গিয়েছি। একইসাথে, খোঁজার কাজও চলছে। কিন্তু, এর দায় তো পুলিশ প্রশাসনের! আমরা দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে দীপক পাঁজা’কে খুঁজে বের করা হোক।”