ফের একবার পিছিয়ে গেল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন (Sujay Krishna Bhadra)। সোমবারই আদালতে আসার পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। তাঁকে আদালতের রাস্তা থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় (Sujay Krishna Bhadra)। তাঁকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তিনি (Sujay Krishna Bhadra) সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাঁর জ্ঞান ফেরেন। বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর শারীরিক অবস্থা রিপোর্ট পেশ করা হয়।
অসুস্থতার কারণে আদালতে পেশ করা হলো না সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। যার জেরে নতুন করে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির চার্জ গঠন পিছিয়ে গেল। আগামী ছয় জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। আদালত তাঁর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট তলব করেছে। আদালতে সুজয় কৃষ্ণের আইনজীবী বলেন, তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রথমে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ভেন্টিলেটরে ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে রয়েছে।
তবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী তাঁর শারীরিক অবস্থার যে রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছেন, তাঁর সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের রিপোর্টে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী বলেন, পেসমেকারের সমস্যা আছে। ১০ বছর হয়ে গিয়েছে পেসমেকার বসানো হয়েছে। ব্যাটারি কাজ করছে না। আরও কিছু সমস্যা আছে। তাই ওঁকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সব পরীক্ষা হয়েছে। তাঁর এই মুহূর্তে কোনও কার্ডিও (হার্টের) সমস্যা নেই। তাঁকে চিকিৎসার জন্য আর একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ২০২০ সালেরর ৩০মে গ্রেফতার করা হয়। তারপর বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতারের সময় তীব্র রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের পরেই তাঁদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এসএসকেএমে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে ভর্তি করা হয়। সেই নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই দেড় বছরের মধ্যে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর নমুনা পরীক্ষা করা নিয়েও একাধিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।