পুলিশ, প্রশাসন এবং সরকারের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে এবার অসহযোগ করার ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumder)। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সুকান্ত মজুমদার আবেদন করে বলেন, ‘‘এবার সময় এসেছে পুলিশ এবং প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতা করার। না হলে উচিত শিক্ষা পাবে না।’’
পাশাপাশি মাথাভাঙ্গায় আরজি কর ইস্যুতে বুধবার রাতে পথে নেমে প্রতিবাদ দেখানোর সময় তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে প্রতিবাদীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গে টেনে সুকান্ত মজুমদার বললেন, ‘‘তৃণমূলীদের সময় এসেছে আর সোজা কথা বলে প্রতিরোধ নয়, মাথাভাঙ্গায় যারা প্রতিবাদীদের উপর হামলা চালিয়েছে নাগরিকদের কাছে আবেদন করছি সেই সমস্ত মানুষজনকে খুঁজে বের করে সেই তৃণমূলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’’ বলা বাহুল্য, আরজি কর কাণ্ডকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনকে প্রতিদিনই নিশানা করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সামনে এনেছেন একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ও দাবি। ঘটনার তথ্য প্রমাণ লোপাট করা থেকে তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়েছে বলেও পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের পাশাপাশি শাসক নেতাদের বিরুদ্ধেও একের পর এক অভিযোগের বোমা ফাটিয়েছেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ এবং পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে রাজনৈতিকভাবে পথে নেমে প্রায় প্রতিদিনই সুর চড়াচ্ছেন বঙ্গ পদ্ম সেনাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে যখন উত্তাল নাগরিক সমাজ, ঠিক এই আবহেই এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুলিশ থেকে শুরু করে সরকারের সঙ্গে রাজ্যবাসীকে সম্পূর্ণ অসহযোগ করার বার্তা দিলেন। কিন্তু অসহযোগ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন সুকান্ত? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ‘‘বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে সরকারের ঘরে বিভিন্ন খাতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া টাকা বন্ধ করে দেওয়া-সহ পুলিশ প্রশাসনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যত ‘বয়কট’ করার কথা বলেই সুকান্ত মজুমদার সরকারের উপর চাপ বাড়াতেই এক প্রকার অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিলেন।’’