গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়(Sukhendu Sekhar Roy)। আরজি কর-কাণ্ডে তাঁকে নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। হাজিরা না দেওয়ায় গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন তিনি।মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কলকাতা পুুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রবিবার দুটি নোটিস দেওয়া হয় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুনরায় নোটিস দিয়ে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ লালবাজারে আসতে বলা হয় তাঁকে। দুটি নোটিসের জবাবেই সুখেন্দু শেখর রায় কলকাতা পুলিশকে জানান, তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণেই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। নিজের জবাবের সঙ্গে দিল্লির এইমস এবং এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে রবিবার লালবাজারে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু সুখেন্দু সেই তলবে সাড়া দেননি। রবিবার বিকালে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। সূত্রের খবর, তিনি না আসায় তাঁকে আবার তলব করা হয়। প্রথম নোটিস তাঁকে পাঠানো হয় দুপুর একটা নাগাদ। সেই নোটিস্ তাঁকে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দেখা করতে বলা হয় লালবাজারে। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন৷ নিজের দাবির স্বপক্ষে তিনি গত ২৬ জুলাই দিল্লির এইমসে চিকিৎসক দেখানোর পরে তাঁদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন ও ৩১ জুলাই এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের দুই বিভাগীয় প্রধানকে দেখানোর প্রেক্ষিতে তাঁদের দেওয়া যে প্রেসক্রিপশন রয়েছে, সেগুলিও পুলিশকে পাঠান। সূত্রের খবর এরপর বিকেল ৪:৫৫ নাগাদ তাঁকে ফের নোটি, পাঠানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷ বলা হয় বিকেল ৫:৩০ নাগাদ তাঁকে দেখা করতে হবে লালবাজারে।