Sukhendu Sekhar Roy: দুরত্ব কমছে! ভুল স্বীকার করতেই দলের ফোন গেল সুখেন্দু শেখর রায়ের কাছে

জল্পনা ক্রমেই বাড়ছিল। দলের থেকে দুরত্ব বাড়ছে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy)। ২৫ নভেম্বর তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেখানে ডাক পাননি তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ সুখেন্দু রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। এমনকী সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) রাজ্য সভায় আসন বদলের জন্য  চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করেছে বলে দলের সূত্রে খবর। রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকের আমন্ত্রণ পেলেন সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। জানা গিয়েছে, দলের সঙ্গে দুরত্ব কমার ঘটনায় অনুঘটকের কাজ করেছেন কুণাল ঘোষ।

বুধবার সাংসদ বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছন সুখেন্দু শেখর রায়। মঙ্গলবার তাঁকে আমন্ত্রণ জানান ডেরেক ও ব্রায়েন। বুধবার তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকেও সুখেন্দু শেখর রায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি রাত দখলেও অংশ গ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আরজি করের ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। যার ফলে সেই সময় থেকে তাঁর দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়তে থাকে। তাঁকে লালবাজার থেকেও ডেকে পাঠানো হয়। যদিও সেই সময় দলের তরফে সুখেন্দু শেখরের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

আরজি করের রেশ আস্তে আস্তে কাটার পর থেকেই দলের সঙ্গে সুখেন্দু শেখরের দুরত্ব প্রকাশ পেতে থাকে। কর্মসমিতির বৈঠকেও তিনি ডাক পাননি। তখন থেকে জল্পনা তুমুল আকার ধারণ করে। এই পরিস্থিতিতে আসরে নামেল কুণাল ঘোষ। তিনিই সুখেন্দু শেখর রায়কে পরামর্শ মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখার পরামর্শ দেন। সেই কথা মতো মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ভুল স্বীকার করে চিঠি লেখেন সুখেন্দু শেখর। সেখানে তিনি লেখেন,  “মেয়ের বাবা হিসেবে আর জি কর কান্ড নিয়ে ব্যথিত ছিলাম। বিভিন্ন খবরে নানাভাবে বিভ্রান্ত হয়েছি।” তারপরেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বুধবার রাজ্য সভায় বিরোধীরা জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন সুখেন্দু শেখর।