মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক আশাবাদী জুনিয়র চিকিৎসকরা। কপিল সিব্বল এদিন সপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। তারপরেও কেন জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন না। কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই প্রসঙ্গ দুবার তুলে আনেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিয়া জয় সিং বলেন(Supreme Court) , মুখ্যমন্ত্রী সবে আশ্বাস দিয়েছেন। বাস্তবায়িত হওয়ার পরেই তাঁরা আলোচনা করে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, কবে থেকে কাজে যোগ দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সরাসরি জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, এখনই সেই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। আগে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করুক। তবে দ্রুত এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের এই সিদ্ধান্তকে কার্যত স্বাগত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া কাজ বাস্তবায়ি করতে হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আশাবাদী জুনিয়র চিকিৎসকরা খুব তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দেবেন।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের কিছু অংশ পাঠ করেন কপিল সিব্বল। তার পাশাপাশি কিছু অংশ পাঠ করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। এরপরেই স্পষ্ট ভাষায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী জানিয়ে দেন, তাঁরা কাজে যোগ দেবেন। তবে কবে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন, সেই তারিখ বা সময় তিনি বলতে পারবেন না।
অন্যদিকে, আরজি কর সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্ট্যাটাস দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, কাজের গতি অত্যন্ত ধীর গতিতে হচ্ছে। সবার আগে চিকিৎসকদের ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।