আর জি কর ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। তারই মধ্যে ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের জরুরি ভিত্তিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme court)। তবে আর জি কর সংক্রান্ত মামলায় নয়। অন্য একটি মামলার ভিত্তিতে আগামী ২৭ আগস্ট ওই ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে শীর্ষ আদালত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ, ওইসব রাজ্যে প্রাক্তন বিচারপতি এবং বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত বকেয়া পেনশন ভাতা এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা না দিলে, মুখ্যসচিবদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে মুখ্যসচিবদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সে কথা শুনতে রাজি হননি প্রধান বিচারপতি। সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৭ আগস্ট এই ১৮টি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেই সশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। এর আগে বহুবার তলব করেও সাড়া মেলেনি। মুখ্যসচিবরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সুপ্রিম শুনানিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আগামী শুনানিতে হাজিরা দিতেই হবে। না দেওয়া হলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
অল ইন্ডিয়া জাজেস অ্যাসোসিয়েশন এর তরফে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, শীর্ষ আদালতের একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল পে কমিশনের এর সুপারিশ অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের পেনশন সুনিশ্চিত করেনি এই ১৮টি রাজ্য। কেন তা করা হল না? আগামী ২৭ অগস্ট শুনানির দিন সশরীরে হাজিরা দিয়ে মুখ্য সচিবদের সেই ব্যাখ্যা দিতে হবে।