তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানির পর, আদালত তার রায় সংরক্ষণ করেছে। তামিলনাড়ু সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগ করেছে, দাবি করেছে যে রাজ্যপাল এখনও ১২টি বিল অনুমোদন করেননি, এবং কিছু বিল ২০২০ সাল থেকে বিচারাধীন।
সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালের দীর্ঘ নীরবতা এবং বিল আটকে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটরমণির বক্তব্য শোনে, যিনি রাজ্যপালের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আদালত জিজ্ঞাসা করেছে, “এতদিন চুপ ছিলেন কেন? যদি আপনার কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে রাজ্য সরকারকে কেন জানাননি? হয়তো তারা আপনার সাথে একমত হবে।”
রাজ্যপাল কীভাবে পুনঃপাঠিত বিলগুলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন, তা নিয়ে আদালত আরও প্রশ্ন তোলে। আদালত দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর রায় সংরক্ষণ করে। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার নেতৃত্বে বেঞ্চটি এই শুনানি পরিচালনা করছিল।
তামিলনাড়ু সরকার রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে বিলগুলি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু বিল ২০২০ সাল থেকে ঝুলে আছে। রাজ্যপাল ১২টি বিল এখনও অনুমোদন করেননি এবং সেগুলো আটকে রেখেছিলেন। পরে, বিধানসভা বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করে এবং ওই বিলগুলো পুনরায় পাস করে। এর পর রাজ্যপাল ১০টি বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান।
গভর্নরের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটরমানি বলেন, “রাষ্ট্রপতির কাছে বিল পাঠানো ন্যায্য, এটি সংবিধানের অধীনে রাজ্যপালের ক্ষমতার অংশ।” তিনি বলেন, রাজ্যপালের এটা করার অধিকার রয়েছে।
বেঞ্চ ভেঙ্কটরমণিকে প্রশ্ন করে, “যখন রাজ্যপাল বিলগুলির সম্মতি আটকে রেখেছিলেন, তখন তার উদ্দেশ্য কী ছিল? কেন সরকারকে তার আপত্তির কথা জানানো হয়নি?” আদালত জানতে চেয়েছে, “বিলগুলো কেন এতদিন আটকে রাখা হয়েছিল? রাজ্য সরকারকে কেন কিছু জানানো হয়নি?”
ভেঙ্কটরমানি জানান, সংবিধানে এটি নিষিদ্ধ নয়, এবং রাজ্যপাল আগেই রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে তার কিছু আপত্তি রয়েছে। তবে আদালত আবারও প্রশ্ন তোলে, “কেন রাজ্যপাল তখন তার আপত্তি জানালেন না?”
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী ও অভিষেক মনু সিংভি মন্তব্য করেন, রাজ্যপালকে তার বিল আটকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এখন, আদালত সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছে এবং রাজ্যপালের সম্মতি আটকে রাখার অধিকার নিয়ে আরও আইনি প্রশ্নগুলি পর্যালোচনা করবে।