ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সময় অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রফতানির জন্য ভারতে বিভিন্ন সংস্থাকে নতুন লাইসেন্স/অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ মেসার্স মুনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং অন্যান্য বেসরকারী সংস্থা যেমন মেসার্স প্রিমিয়ার এক্সপ্লোসিভস, আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস লিমিটেড এবং অন্যান্য।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী অশোক কুমার শর্মা সহ ১১ জন এই পিটিশন (Supreme Court) দায়ের করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের সময়ও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন ও রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ভারতের অন্তত তিনটি কোম্পানিকে ইসরায়েলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই লাইসেন্সগুলি হয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বা ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স প্রোডাকশন (ডিডিপি) থেকে প্রাপ্ত হয়েছে যা দ্বৈত ব্যবহারের জন্য এবং একচেটিয়াভাবে সামরিক উদ্দেশ্যে অস্ত্র এবং যুদ্ধের মতো স্টোর রফতানির অনুমোদন দেয়।
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রফতানির জন্য লাইসেন্স প্রদান ভারতীয় সংবিধানের (Supreme Court) অনুচ্ছেদ ১৪ ও ২১ এবং ৫১(সি) এর অধীনে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভারতের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন। আবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে যে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে তা যেন গণহত্যায় ব্যবহৃত না হয়, গণহত্যায় অবদান না রাখে বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন না করে তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে অবিলম্বে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
এই সাংবিধানিক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত কর্তৃক ইসরায়েল রাষ্ট্রকে যে কোনও ধরনের অস্ত্র ও যুদ্ধ সামগ্রী সরবরাহ নৈতিকভাবে অসমর্থনীয় এবং আইনত ও সাংবিধানিকভাবে (Supreme Court) টেকসই নয়। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারতের উচিত অবিলম্বে ইসরায়েলকে বিশেষ করে সামরিক সরঞ্জামসহ সামরিক সহায়তা স্থগিত করা, কারণ এই সহায়তা গণহত্যা কনভেনশন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বা সাধারণ আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বাধ্যতামূলক নিয়ম লঙ্ঘন করে ব্যবহার করা যেতে পারে।”