মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর কাণ্ডে শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানির মধ্যেই ভর্ৎসিত হল রাজ্য সরকার। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মহিলাদের নাইট ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, কোন যুক্তিতে বলা হল? কেন মহিলা ডাক্তারদের সীমা বেঁধে হচ্ছে? ওঁরা এই ছাড় চান না। মহিলারা রাতের ডিউটি করতে প্রস্তুত। আপনাদের বিষয়টি দেখা উচিত। আপনাদের কাজ নিরাপত্তা দেওয়া। বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা উচিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। আপনাদের কাজ নিরাপত্তা দেওয়া। মহিলা ডাক্তাররা রাতে কাজ করতে পারবেন না?”
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয়। সেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখার পরেই প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “সিবিআই তাদের রিপোর্টে যা লিখেছে, তাতে আমরা বিচলিত। কলকাতা পুলিশ কেন ২৭ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ দিল। কেন সিসিটিভির সম্পূর্ণ ফুটেজ দেওয়া হয়নি।” যদিও এদিন সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে কপিল সিব্বল বলেন, সাত থেকে আট ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। সেটা সিবিআই স্বাক্ষর করে নিয়েছে।
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের সিবিআই-কে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।” জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, “যারা খুনের জায়গায় ছিল, তাদের নাম মুখবন্ধ খামে জমা দিতে পারি। খোলা আদালতে এসব নাম বলব না।“ অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতার বাবার যে উদ্বেগ ছিল, তা অমূলক নয়।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে রাজ্য রকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ও সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন। পাশাপাশি জানানো হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য বিনা চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্য সরকার যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তা মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী। কোনও সরকারি তথ্য কেন রাজ্য সরকারের কাছে নেই বলেও মন্তব্য করা হয়েছে চিকিৎসকদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে।