বাংলাদেশ ইস্যুতে ফের একবার সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। পেট্রপোলের পর ফের একটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এবার উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তে তিনি (suvendu adhikari) অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিলেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ইস্যুতে একাধিক কর্মসূচির ডাক দেন তিনি (suvendu adhikari)।
এর আগে পেট্রোপোল সীমান্ত অবরোধ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। একাধিক সন্ন্যাসী তাঁদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একদিন শুধু পেট্রাপোল বন্ধ করেছিলাম। ৪০ গাড়ি পিঁয়াজ পচে গিয়েছে। একদিনেই হালুয়া টাইট। সাতদিন বন্ধ করলে ইউনুসের চামড়া তুলে নেবে বাংলাদেশের লোক। আর কিছু করতে হবে না।” শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র শৌর্য দিবস পালন করার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত মিছিল করা হবে। মিছিলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজেও উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ঘোজাডাঙা সীমান্ত বন্ধের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। মন্দির ভাঙা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তাল হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে ভারতীয়দের ওপরও তুমুল অত্যাচার চলছে। প্রাণভয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় পর্যটকরা দেশে ফিরে আসছেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় নিযুক্ত ডেপুটি হাই কমিশনার শিকদার মহম্মদ আশরাফুল রহমান ও আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার আরিফ মহম্মদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন আশরাফুল রহমান। জানা গিয়েছে, আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই দু’জনকে ঢাকা থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী বিদেশ মন্ত্রক তাঁদের দুজনকে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা শনিবার কলকাতায় ফিরে আসছেন বলে জানা গিয়েছে।