পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগকে ওড়িশার জঙ্গল থেকে আসা বাঘ সামলাতে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মন্তব্যকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে তা ‘ফাউল টক’ বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার গঙ্গাসাগরে সাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “ওড়িশা সরকার জঙ্গল থেকে বাঘ ছেড়ে দিচ্ছে। ওদের বাঘ আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ছে। দয়া করে বনকর্মী পাঠিয়ে বাঘগুলো ফেরত নিয়ে যান। আমাদের বাসিন্দারা আর ভোগান্তি সহ্য করবে না।”
মমতার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে শুভেন্দু অধিকারী এদিন সকালে নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের বলেন, “বাঘ কখনও ছেড়ে দেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমাঝেই এমন অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন, যা বাঙালিদের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
মুখ্যমন্ত্রীর আরও কিছু পুরনো মন্তব্য তুলে শুভেন্দু বলেন, “কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে গিয়ে উনি বলেছিলেন, ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে সব মহিলা বিধবা হবেন। এ ধরনের কথা মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন মানুষের মুখে মানায় না। ওড়িশার মানুষ যদি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে লজ্জিত হতে হয়।” তিনি আরও যোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে রয়েছেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করব সংযত কথা বলার জন্য। মানুষ এই ধরনের কথা আশা করে না। এমন কিছু বলবেন না যাতে রাজ্যের সম্মানহানি হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার আরও বলেন, “আমাদের রাজ্যে হাতির সংখ্যা বেড়েছে। খাদ্যের সমস্যা হচ্ছে। ধান খেতে চলে যাচ্ছে। রাস্তায় চলে আসছে। বনকর্মীদের সামলাতে হচ্ছে। এরমধ্যে ওড়িশার বাঘের সমস্যা সহ্য করতে হলে সেটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ওড়িশা সরকারকে বলব, দয়া করে বাঘগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য এবং শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা প্রতিক্রিয়ার পর বিষয়টি নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। বিরোধী শিবিরের দাবি, মমতার বক্তব্য রাজ্যের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।