হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু সহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে (Suvendu adhikari)। সোমবার ইসকনের বাংলাদেশ শাখার সদস্য চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জেরে বাংলাদেশ উত্তাল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে (Suvendu adhikari)। কলকাতাতে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির নেতা(Suvendu adhikari), কর্মী সমর্থকরা। এই পরিস্থিতিতে ভারতে বাংলাদেশীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলল বিজেপি (Suvendu adhikari)। বুধবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের দপ্তরে গিয়ে বিজেপি (Suvendu adhikari) বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধের দাবি জানানো হয়।
সীমান্ত বাণিজ্য ছাড়াও ভারতে বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশীরা আসেন। তারমধ্যে অন্যতম কারণ হল চিকিৎসা। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে উন্নতমানে চিকিৎসা নিতে প্রায় সারা বছরই ভারতে আসেন বাংলাদেশীরা। এমনকী করোনা কালেও বাংলাদেশীদের জন্য মেডিক্যাল ভিসা বন্ধ করেনি ভারত। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে কার্যত অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘূদের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশীদের মেডিক্যাল ভিসা বন্ধের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, বুধবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনে যান বিজেপির ৮ প্রতিনিধি দল। ডেপুটি হাই কমিশনে তাঁরা দাবি করেন, অবিলম্বে বাংলাদেশীদের ভারতে আসার সমস্ত ধরনের ভিসা বন্ধ হোক। এমনকী সীমান্তে আমদানি-রফতানিও বন্ধ হোক। এমনকী চিকিৎসার জন্যও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা যাবে না বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বাংলাদেশীরা চিকিৎসার জন্য করাচি, লাহোর যেতে পারেন। তাঁদের ভারতে আসার কোনও দরকার নেই।”
এই বিষয়ে বিজেপি একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় বঙ্গীয় সনাতন হিন্দু সমাজ জমায়েতের আয়োজন করেছে। এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তাই সকলকে এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার বিজেপি পেট্রাপোল সীমান্তে পণ্যবাহী যানচলাচলের পথ অবরোধ করার কর্মসূচি নিয়েছে। সেখানে থাকবেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী বলে জানা গিয়েছে।