তিন দিনের দিঘা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Jagannath Temple)। সেখানেই তিনি জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) কাজ ভালো করে দেখেন। জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) কাজ প্রায় শেষের দিকে। তিনি জানান, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন হবে। এই বিষয়ে তীব্র বিরোধিতার পথে হাঁটলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দু–কুণালের বাকযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘোষণার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “কাগজপত্রে কোথাও মন্দিরের উল্লেখ নেই। সাংবিধানিকভাবে কোনও সরকার এক্সচেকারের টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও দাঁড়িয়ে যা যা বলেছেন সেটা ভণ্ডামি ও মিথ্যাচার। আমি একজন জগন্নাথ দেবের ভক্ত হিসেবে বলতে চাই, চারধামের একধাম পুরী ধাম। একে নকল করবেন না। এই অধিকার কোনও হিন্দু আপনাকে দেয়নি। কেদার–বদ্রীর বিকল্প হয় না। গীতাকে পালটানো যায় না। অভিনন্দনকে শুভনন্দন করতে পারেন। কিন্তু পুরী ধামের নকল মন্দির করতে পারেন না। সাহস কোথা থেকে হয় এসবের?”
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ঈর্ষা থেকেই এসব করছেন বিরোধী দলনেতা। দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রী তা দেখতে গিয়েছেন। তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা কটাক্ষে নেমেছেন। জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি হচ্ছে তা নিয়েও কটাক্ষ! এত ঈর্ষা কীসের?”
বুধবার দিঘায় সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা বলেন, “এখনও পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও কিছু খরচ করতে হবে। একটি ট্রাস্টি তৈরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে। বছর কয়েক আগে দিঘায় ঘুরতে ঘুরতে সিদ্ধান্ত নিই সমুদ্র সৈকতে একটি মন্দির করব। পুরীর মন্দিরের মতোই উচ্চতা করব ঠিক করি। আজ তিন- চার বছর সময় লেগেছে এত সুন্দর মন্দির তৈরি হয়েছে। আমরা তুলনা করব না। তবে এখানে জায়গাটা বেশি। সব আলাদা আলাদা ঘর থাকছে। এখানে পুরীর খাজার মত বাংলার গজা, গুঁজিয়া থাকবে।”