সামনেই উপনির্বাচন। তার আগেই এক গাদা কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরমধ্যেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি (Suvendu Adhikari)এক সংবাদিক বৈঠকে বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে। কিছু বাম ও অতিবাম মনস্ক জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছেন বলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মনে করছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে একদন থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন চলছিল। যাঁরা থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত তাঁরাও আলাদা একটি সংগঠন করেছেন। তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই পরিস্থিতি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে এক হাত নেন। তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের আলাদা ফ্রন্ট তৈরি করেছে তৃণমূল। ডাক্তাদের আন্দোলনে চাপে ছিল সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের শুরুটা ভালো। ফিনিশিংটা ভালো নয়। তবে বিজেপি ছাড়বে না। দীপাবলির পর শুরু হবে।” পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের সব ভাল লেগেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ আমার এবং মানুষের ভাল লাগেনি। অন্যভাবেও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হতে পারে না, অশ্বডিম্ব হয় তা প্রমাণিত।”
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করেন। বিচার সহ ১০ দফা দাবি চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনে বার বার উঠে আসে থ্রেট কালচার। আরজি করে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৪৭ জন জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশের পর ফের তাঁরা কাজে যোগ দেন। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা নতুন করে ফ্রন্ট তৈরি করেন। শনিবার তাদের সংগঠনের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। সেখানেই তাঁরা অভিযোগ করেন, থ্রেট কালচারের শিকার তাঁরাই নিজে। তাঁরা বলেন, বিচার আমরাও চাই। কিন্তু আমরা রোগীদের বিপদে ফেলে আন্দোলন করতে পারি না।