আরজি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আরজি কর মেডিক্যালের চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের দাবিকে হাতিয়ার করে নতুন করে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস অভিযোগ করেছিলেন, তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করে দেওয়ার চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় মৃতার কেউ হয় না। তারপরেও ওই ব্যক্তি শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।
ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। নিহতের কাকা পরিচয় দিয়ে একজন বলেছিলেন, ওই দিন ময়নাতদন্ত না হলে রক্তগঙ্গা বইবে। এক প্রাক্তন কাউন্সিলর বলেছিলেন, রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন।’ অপূর্ব বিশ্বাসের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে নতুন করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরজি কর কাণ্ডে একাধিক তথ্য সামনে আনেন। এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) । বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছেন। দাবি করেছেন, চিকিৎসকের কাকা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল বাংলা। সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ কয়েক জন চিকিৎসককে শনি ও রবিবার ডেকে পাঠায় সিবিআই। যেদিন তরুণী চিকিৎসকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে তাঁদের উপস্থিতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে পাওয়া গিয়েছিল। সেই নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।