আগের ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল উগান্ডা। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একই স্কোর তাড়া করে ফিরেছে উগান্ডাকে। তবে শেষ পর্যন্ত ১ রানে রক্ষা। ত্রিনিদাদে কিউইদের বিপক্ষে উগান্ডা করতে পেরেছে ৪০, বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আগেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের পক্ষে অল্প রানের টার্গেট পূরণ করতে সমস্যা হয়নি। দরকারি ৪১ রান তুলে নিয়েছে ৯ উইকেট আর ৮৮ বল হাতে রেখে।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড জিতেছে দুই বোলার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে শুরুটা করেন বোল্ট। তবে উইকেটসংখ্যায় পরে তাঁকে ছাড়িয়ে যান সাউদি। ডানহাতি এ পেসার ৪ ওভার বল করে মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট, ছিল একটি মেডেনও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪ ওভারের স্পেলে এটি সেরা ইকোনমির রেকর্ড। সাউদি ভেঙেছেন উগান্ডারই ফ্রাঙ্ক এনসুবুগার রেকর্ড, যিনি পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ ৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
আজ এনসুবুগার দলের বিপক্ষে বোল্ট ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রানে নেন ২ উইকেট। ৩.৪ ওভারে ৮ রানে ২ উইকেট মিচেল স্যান্টনারের। নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারানো উগান্ডা ৭ উইকেটে পৌঁছে গিয়েছিল ৩৯ রানে। কিন্তু ১৮তম ওভারে সাউদি টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে আরেকবার ৩৯-এ গুটিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করেন। হ্যাটট্রিক ঠেকাতে নামা কসমস কিউয়েতা এক রান নিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করলেও পরের ওভারে স্যান্টনারের বলে আউট হন।
উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ বলে ১১ রান করেন কেনেথ ওয়াসোয়া। দুই অঙ্কের ইনিংসও এই একটিই। ওপেনার রোনাক প্যাটেল ২ রান করতে খেলেন ২০ বল, যা বিশ্বকাপে কমপক্ষে ২০ বল খেলা ইনিংসগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট (১০)। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেটের জন্ম হয়েছে ব্রায়ান মাসাবার জন্য। যিনি ২০ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।
উগান্ডার ১৮.৪ ওভারে ৪০ রানই অবশ্য বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন দলীয় রানের রেকর্ড। কিউইদের বিপক্ষে ২.১৪ গড়ে রান তুলে উগান্ডা পেছনে ফেলেছে আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজেদেরই ৩.২৫ রান রেটকে। আর এমন ভুলে যাওয়ার মতো হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছে উগান্ডা। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা আফ্রিকান দলটি দেশে ফিরছে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে পাওয়া একমাত্র জয় নিয়ে।
আর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়া নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে আরও একটি ম্যাচ খেলবে। ১৭ জুনের সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উগান্ডা: ১৮.৪ ওভারে ৪০ (রোনাক ২, সেসাজি ০, ওবুয়া ০, রামজানি ০, ওয়াসোয়া ১১, রিয়াজাত ২, নাকরানি ৪, মাসাবা ৩*, আচেলাম ৯, মিয়াগি ০, কিয়েউতা ১; বোল্ট ৪-১-৭-২, সাউদি ৪-১-৪-৩, স্যান্টনার ৩.৪-০-৮-২, ফার্গুসন ৪-০-৯-১, রবীন্দ্র ৩-১-৯-২)।
নিউজিল্যান্ড: ৫.২ ওভারে ৪১/১ (অ্যালেন ৯, কনওয়ে ২২*, রবীন্দ্র ১*; কিউয়েতা ২-০-১৩-০, মিয়াগি ২.২-০-১৬-০, রিয়াজাত ১-০-১০-১)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: টিম সাউদি।