TATA Aircraft Complex: ভারতে তৈরি হতে চলেছে সি-২৯৫, রতন টাটাকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্পেনের রাষ্ট্রপতি পেড্রো সানচেজ যৌথভাবে ভদোদরায় টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড (টিএএসএল) কমপ্লেক্সে সি-২৯৫ বিমান তৈরির জন্য টাটা এয়ারক্রাফট কমপ্লেক্সের (TATA Aircraft Complex) উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধন পর তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দেশ এক মহান পুত্র রতন টাটাকে হারিয়েছে। রতন টাটা আজ আমাদের মধ্যে থাকলে খুব খুশি হতেন। আজ ভারত এই প্রকল্পে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। প্রকল্পটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কোনও বিলম্ব হওয়া উচিত নয়। এখান থেকে তৈরি বিমান অন্য দেশকেও দেওয়া হবে।

Image

পিএম মোদী বলেন, “আজ ভারতে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ব্যবস্থা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা যদি ১০ বছর আগে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিতাম, তাহলে আজ এই পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব হত। সেই সময়, কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে ভারতে এত বড় পরিমাণে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত (TATA Aircraft Complex) পণ্য তৈরি করা যেতে পারে, কিন্তু আমরা একটি নতুন পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিজের জন্য একটি নতুন লক্ষ্য স্থির করেছি এবং আজ ফলাফল আমাদের সামনে রয়েছে। আমরা প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করেছি, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে দক্ষ করে তুলেছি, অস্ত্র কারখানাগুলিকে সাতটি বড় কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেছি, ডি আর ডি ও ও এইচ এ এল-কে শক্তিশালী করেছি, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে দুটি বড় প্রতিরক্ষা করিডর তৈরি করেছি। এই ধরনের অনেক সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে নতুন শক্তিতে পূর্ণ করেছে।”

Tata-Airbus C-295 facility: 1st private assembly line, future export,  ecosystem creation… all you need to know | Today News

মোদী আরও বলেন, “আপনারা সকলেই গত এক দশকে ভারতের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি এবং পরিবর্তন দেখেছেন। এই কারখানাটি মেড ইন ইন্ডিয়া বিমানের (TATA Aircraft Complex) পথ উন্মুক্ত করবে। বিভিন্ন ভারতীয় বিমান সংস্থা ১২০০টি নতুন বিমানের অর্ডার দিয়েছে। এই কারখানা ভারত এবং বিশ্বের ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে অসামরিক বিমানের নকশা (TATA Aircraft Complex) এবং উৎপাদনে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে।”

PM Modi, Spanish PM inaugurate Tata-Airbus C295 aircraft plant in Vadodara

স্পেনের রাষ্ট্রপতি পেদ্রো সানচেজ বলেন, “১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে, প্রতিভাবান পাকো ডি লুসিয়া এবং মহান ভারতীয় সুরকার রবিশঙ্কর সঙ্গীতের মাধ্যমে আমাদের দুটি দেশকে আরও কাছে নিয়ে এসেছিলেন। সম্ভবত তারা তখন বুঝতে পারেনি, কিন্তু তারা সংস্কৃতির মধ্যে একটি সেতু তৈরি করছিল যা ভবিষ্যতের পথ উন্মুক্ত করবে। এমন একটি ভবিষ্যৎ যা এই ধরনের প্রকল্পের মুখ। এই কারখানাটি শিল্প উৎকর্ষের প্রতীক, বিকাশের চালিকাশক্তি এবং ঘনিষ্ঠ ও ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের প্রমাণ হবে।”